,

এক বছরের সাজা প্রাপ্ত বানিয়াচং’র আলোচিত রিক্সা চালক জিতু’র আপিল শুনানী ৬ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার : আদালতে সাজা হওয়ার পরও বানিয়াচং উপজেলার তাজপুর গ্রামের আলোচিত রিক্সা চালক থেকে কোটিপতি হওয়া জিতু মিয়া। বিদেশ পাটানোর কথা বলে বিভিন্ন এলাকার লোকজনের নিকট থেকে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিগত ২০১৭ইং সালের ২২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ১ বছরের সাজা দেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (বিচারক আদালত-১)। সেই সাথে তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। পরে জিতু মিয়া বিগত ২০১৮ইং সালের ৭ জানুয়ারী জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল শর্তে জামিন লাভ করে। জামিনে মুক্তি লাভের পর স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কয়েকবার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। এতে জিতু মিয়া তাদের কথায় কর্নপাত করেননি। সে তার দাপটে সকলের মতামত এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, তাজপুর গ্রামের কানাই মিয়ার পুত্র জিতু মিয়া এক সময়ে রিক্সা চালাতেন। জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে দিনমজুর ও ফেরি করে। অবশেষে জিতু মিয়া জীবিকার তাগিতে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে সে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে শুন্য হাতে ফিরতে হয় দেশে। এরপর হঠাৎ সে যেন বদলে যায়। দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে শুরু করেন নতুন জীবন। বিদেশ থাকা দুই ছেলেকে দেখিয়ে শুরু করেন আদম ব্যবসা। সাধারণ মানুষদেরকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে হাতিয়ে নিতে শুরু করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এক পর্যায়ে ভিটেহীন জিতু মিয়া হয়ে যান কয়েক একর জমির মালিক। সেই সাথে দখল বাজদের খাতায় নাম লেখান জিতু মিয়া। নিজের চাচাতো ভাইয়ের কবরস্থানের জায়গাও দখল করে নেয় জিতু মিয়া। এলাকায় শুরু করেন প্রভাব কাটাতে। তার প্রভাবে কেউ মুখ খোলতেও সাহস পায় না। মুখ খোললেই দেওয়া হয়, বিভিন্ন ধরণের হুমকি দামকী। অবশেষে এর প্রতিবাদ করেন প্রতারণার শিকার নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের কেরামত মিয়ার ছেলে মোঃ ছানু মিয়া। ছানু মিয়াকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে দুই লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০১২ইং সালের ১১ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জিতু মিয়ার এক বছরের সাজা হয়। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে মামলা শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর